ঈদযাত্রায় যারা বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন, ফেরিতে ভিড়ে গাদাগাদি করে বাড়ি যাচ্ছেন, ঈদের পর তাদের একটা অংশ হাসপাতা’লে ভিড় করবেন বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতা’লের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১১ মে) একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশংকার কথা জানান।ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, করো’না ভাই’রাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জন্য আম’রা যেসব স্থানকে অ’তিরিক্ত ঝুঁ’কিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করি, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন ও গণজমায়েত।
এবারের ঈদযাত্রা কেন্দ্র করে এই দু’টি বিষয়ই চূড়ান্তভাবে ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে ভিড়, গাদাগাদি অবস্থা, গণপরিবহন বা অন্য পরিবহনে মানুষ ঠাসাঠাসি করে যাত্রা করার ফলে এসব স্থানে করো’না সংক্রমণের জন্য অ’তি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
‘এ কারণে আম’রা আশ’ঙ্কা করছি ঈদের পরে করো’নাভাই’রাসের সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে যেতে পারে এবং সেই বেড়ে যাওয়াটা আমাদের হাসপাতাল ও অক্সিজেনের যে সাম’র্থ্য সেটাকে অ’তিক্রম করতে পারে। একই কারণেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, এবারের ঈদযাত্রা হচ্ছে আত্মহ’ত্যার শামিল।’
এ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, ঈদযাত্রায় যাত্রার বিষয়টি আমাদের আগে থেকেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। জনসাধারণের ঈদযাত্রার বিষয়টি যদি আম’রা অনুমোদন করতাম, তাহলে সেই অনুযায়ী একটি স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।
‘অ’পরদিকে যদি ঈদযাত্রা বন্ধ করতে চাইতাম তাহলে সেটিও সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে বন্ধ করা উচিত ছিল। কিন্তু এই দ্বিমুখী অ’পরিপক্ব সিদ্ধান্তের ফলে সবকিছুই হ-য-ব-র-ল হয়ে গেল। করো’নার সংক্রমণ আরো ছড়িয়ে পড়ার পরিবেশ সৃষ্টি হলো। ’তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে দেশে ভা’রতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। যা অ’তি সংক্রমণশীল। এসব ভীড়ের মধ্যে যদি কেউ ভা’রতীয় ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আ’ক্রান্ত থেকে থাকেন, তাহলে অবস্থা আরো বেগতিক হবে। সুতরাং এখন যারা গণপরিবহনে, ফেরিতে ভিড় করছে, এদের একটা অংশ ঈদের পরে হাসপাতা’লেই ভিড় করবে বলে আম’রা আশ’ঙ্কা করছি।